সরকারি ব্রজলাল কলেজের পুরাতন বিভাগ সমূহের মধ্যে এ  বিভাগ একটি। অর্থনীতি,  সমাজ ও রাষ্ট্র পরস্পর গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। অর্থনীতি সমাজের ভিত্তি, আর রাজনীতি হলো অর্থনীতির ঘণীভূত রূপ। আবার অর্থনীতি ও রাষ্ট্র উভয়ই সমাজের অন্তর্গত । অর্থনীতিকে বাদ দিয়ে যেমন সমাজের আলোচনা সম্ভব নয় তেমনি অর্থনীতি ও সমাজের আলোচনা করতে হলে রাষ্ট্রশক্তির চরিত্র বিশ্লেষন জরুরি। এ কারণে গোড়াতে অর্থনীতি শাস্ত্র রাজনৈতিক অর্থনীতি (Political Economy) নামে পরিচিত ছিল। 1902 সালে শ্রী ব্রজলাল চক্রবর্তীর (শাস্ত্রী) প্রতিষ্ঠিত আজকের সরকারি ব্রজলাল কলেজের 23 টি বিভাগের মধ্যে অর্থনীতি বিভাগ অন্যতম। কলেজের কলা ভবনের নীচতলার পূর্বপাশে অর্থনীতি বিভাগের অবস্থান। বিশ্বের স্বনামধন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি রাষ্ট্রবিজ্ঞান একই বিভাগের অধীনে পাঠদান করা হতো। সরকারি ব্রজলাল কলেজেও 1954 সাল পর্যন্ত অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে একটি বিভাগ গঠিত ছিল।

স্বতন্ত্র বিভাগ হিসাবে প্রতিষ্ঠার পর অর্থনীতি বিষয়ে 1962 সালে অনার্স ,১৯৯৫ সালে মাস্টার্স প্রথম পর্ব ও  1996 সালে মাস্টার্স শেষ পর্বের কোর্স চালু করা হয়। এই সময়ের ব্যবধানে অর্থনীতি বিভাগের কলেবর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বিভাগে অনেক মেধাবী ও গুণী শিক্ষকের সমাগম ঘটেছে, যাঁদের কর্মনিষ্ঠায় বিভাগটি স্বমহিমায় উজ্জ্বল। আবার এই বিভাগে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর আগমন ঘটেছে, যাঁরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কর্মরত। এটাই বিভাগের ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতীক।

বিভাগের শিক্ষকের পদ সংখ্যা 12 টি এবং কর্মরত আছেন 12 জন (অধ্যাপক- 01 জন, সহযোগী অধ্যাপক- 03 জন, সহকারী অধ্যাপক- 04 জন এবং প্রভাষক- 04 জন) । বিভাগে অনার্স ১ম বর্ষ, অনার্স ২য় বর্ষ, অনার্স ৩য় বর্ষ, অনার্স ৪র্থ বর্ষ, মাস্টার্স ১ম পর্ব ও মাস্টার্স শেষ পর্বের মোট প্রায় 1900 জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। বিভাগে একজন অফিস সহকারী, একজন কম্পিউটার অপারেটর ও একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সেমিনারের আর্থিক অনুদানে কর্মরত।

বিভাগে প্রায়- 3200 টি বইয়ে সমৃদ্ধ একটি লাইব্রেরী আছে। এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত Study করতে পারে। শ্রেণিপাঠদানে ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া সংযোজন করা হয়েছে। BNCC, রোভার, ডিবেটিং ক্লাবসহ বিভিন্ন সহপাঠ্য কার্যক্রমে বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের সরব উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝে কর্মরত শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের মাধ্যমে বিভাগের সুনাম বৃদ্ধি করতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।