পিতৃতান্ত্রিকতা কোনো বিছন্ন ব্যবস্থা নয়, একই বা ভিন্ন সময়কালে, একই বা ভিন্ন দেশকালে তার রং বদলায় মাত্র। আটের দশকের কবিরা একদিকে যেমন বঙ্গীয় কবিতার মানবীচৈতন্যের ধারাটিকে আত্মস্থ করেছেন, অন্যদিকে তেমনই পাশ্চাত্য লালিত নারীবাদী কার্যকলাপ ও তার তাত্ত্বিকতায় নিজেদের মননকে জারিত করেছেন। তারই সূত্রে এই দশকের মল্লিকা সেনগুপ্ত, চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, রূপা দাশগুপ্ত, সুতপা সেনগুপ্ত, অঞ্জলি দাশ, ঈশিতা ভাদুড়ি প্রমুখের মতো একঝাঁক তরুণী উঠে এসেছেন নারীর আত্মা, বয়ান ও স্বরের বিস্ফোরক প্রকাশ নিয়ে। এই স্পর্ধিত প্রকাশ আটের কবিতাকে শুধু সতন্ত্র মাত্রাই দেয়নি, হয়ে উঠেছে একটি বিশিষ্ট বিষয়।