About the Department
Phone: 041-861235
Email: zoology@blcollege.edu.bd
প্রাণিবিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা (Zoology education and research) কেবল স্বতন্ত্র একটি প্রাণী নয়, গোটা প্রাণিকুল ও তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক, উদ্ভিদ ও অজৈব পরিবেশের সঙ্গে প্রাণীর সম্পর্ক ইত্যাদি সব ধরনের ধারণযোগ্য আলোচনা ও গবেষণা প্রাণিবিজ্ঞানের বিষয়বস্ত্ত। বিশাল পরিসরের কারণে প্রাণিবিজ্ঞান সাধারণত কতকগুলি শাখায় এখন বিভক্ত এবং এগুলির মধ্যে মুখ্য শ্রেণীবিন্যাস, কোষতত্ত্ব, অঙ্গসংস্থান, শারীরবৃত্ত, প্রায়োগিক শারীরস্থান, ভ্রূণবিদ্যা, প্রত্নজীববিদ্যা, জীনতত্ত্ব ও বংশগতি, বাস্ত্তসংস্থান, প্রাণিভূগোল এবং অর্থনৈতিক প্রাণিবিদ্যা। জ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে প্রোটোজুলজী, কীটতত্ত্ব, পরজীবীবিদ্যা, মৎস্যবিদ্যা, বন্যপ্রাণিবিদ্যা, সংরক্ষণ জীববিদ্যা ইত্যাদি শাখাসমূহের উদ্ভব ঘটেছে।
প্রাচীনকালের প্রকৃতিবিদরা প্রকৃতিতে জীবজন্তু পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রাণিবিজ্ঞানের চর্চা শুরু করেছিলেন। হিপোক্রেটিস (আনু. ৪৬০-৩৭০ খ্রিস্টপূর্ব) ও অ্যারিস্টটল (আনু. ৩৮৪-৩২২ খ্রিস্টপূর্ব) তাঁদের সময়কালে বৈজ্ঞানিক ধ্যানধারণার ধারাবাহিক সংগঠনের প্রয়াস পান, কিন্তু রোমান আমলে তাতে ভাটা পড়ে এবং গ্যালেন-এর স্মরণীয় অবদানের পর ১৮ শতক পর্যন্ত প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞান গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি অর্জিত হয় নি। কুভ্যের (১৮১২) প্রত্নজীববিদ্যাকে বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং ল্যামার্ক, মেন্ডেল ও ডারউইন প্রমুখদের মতবাদ বৈজ্ঞানিক ধ্যানধারণায় বিপ্লব আনে। লিনিয়াস (১৮৫৭) প্রথম প্রাণীর দ্বিপদ নামকরণ প্রবর্তন ও যথাযথ ব্যবহার করেন।
শিক্ষা ও গবেষণা বাংলাদেশে উচ্চস্তরে প্রাণিবিজ্ঞান চর্চার সূচনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের অধীনে ১৯৩৯ সালে, যেখানে ১৯৪৮-৪৯ শিক্ষাবর্ষে প্রাণিবিদ্যার স্নাতক (পাস) কোর্স চালু হয়েছিল। বি এল কলেজে ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষের পূর্ব পর্যন্ত জীববিজ্ঞানের অধীনে প্রাণিবিজ্ঞান পড়ানো হতো। পরবর্তীতে প্রাণিবিজ্ঞান একটি স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে৷ প্রফেসর ড. শেখ আব্দুল মুত্তালিব এ বিভাগের প্রথম বিভাগীয় প্রধান ছিলেন৷ তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ বিভাগ ক্রমান্বয়ে উন্নতি সাধন করে৷ তিনি এবং পরবর্তীতে এ বিভাগের অন্যান্য অধ্যাপকের সক্রিয় সহযোগিতায় সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়৷ ল্যাবরেটরিকে প্রাণিবিজ্ঞান বিষয়ে সুসজ্জিত করা হয়৷ ১৯৭৩ সালে প্রাণিবিজ্ঞান সম্মান কোর্স চালু হয়৷
১৯৯৪ সালের পর স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মাৎস্যবিদ্যা এবং কীটতত্ত্ব বিষয়ে পাঠদান শুরু হয়৷ প্রথমে এ বিভাগে ৪ জন, পরে ৭ জন, বর্তমানে ১২ জন শিক্ষক এবং ২ জন প্রদর্শকের পদ আছে৷ ১৯৯৫ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক কোর্স বন্ধ করা হয়৷ তবে ২০১০-২০১১ শিক্ষা বর্ষ হতে আবারও এইচ.এস-সি কোর্স চালু হয়েছে৷ ২০১৫ সালের হিসেব মোতাবেক এ বিভাগে প্রায় ১০০০ জন ছাত্র/ছাত্রী অধ্যয়নরত আছে৷ এ বিভাগের পরীক্ষার ফল বরাবরই সন্তোষজনক৷